দেশে থামছে না করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা। চূড়া থেকে নামছে না মৃত্যু ও সংক্রমণ। এক দিন কিছুটা কমলেও পরের দিন তা বেড়ে যাচ্ছে। মৃত্যু এখনো ২০০ উপরে। শনাক্তও ১৫ হাজারের বেশি। তবে আগের দিনের চেয়ে মৃত্যু, সংক্রমণ ও শনাক্তের হার কিছুটা কমেছে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে আরও ২৩৫ জন মারা গেছেন। রোববার মারা যান ২৪৬ জন। ২৭ জুলাই সর্বাধিক ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে দেশে মোট ২১ হাজার ৩৯৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা। এক দিনে আরও শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৭৬ জন। আগের দিন শনাক্ত হয়েছিলেন ১৫ হাজার ৯৮৯ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ২৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। সরকারি হিসাবে এক দিনে সেরে উঠেছেন ১৬ হাজার ২৯৭ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪৫ জন। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত বছর ৮ মার্চ দেশে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকে। এর মধ্যে দেশে ছড়িয়ে পড়ে ডেল্টা ভেরিয়্যান্ট। এতে শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে করোনা। জুলাই থেকে মৃত্যু ও সংক্রমণের মাত্রা জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সংক্রমণের শীর্ষে এখনো ঢাকা বিভাগ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের প্রায় অর্ধেক রোগী এ বিভাগে। চট্টগ্রামেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। এক দিনে এ বিভাগে তিন হাজারের বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৯৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৩টি, জিন এক্সপার্ট ৫৩টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫১১টি। এসব ল্যাবে ৫৭ হাজার ২৯৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা হয়েছে ৫৫ হাজার ২৮৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৯টি। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৮০ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৪০ ও নারী ৯৫ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৭৩, বেসরকারি হাসপাতালে ৪৬ ও বাড়িতে ১৫ মারা গেছেন। মৃতাবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় একজনকে। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৭৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগ ৬৫, রাজশাহী বিভাগ ২১, খুলনা বিভাগ ৩২, বরিশাল বিভাগ আটজন, সিলেট বিভাগ ১২ জন, রংপুর বিভাগ ১২ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ জন আছেন। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে চারজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৮০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৫, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চারজন, ১১ বছরে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
Array