বিশ্বব্যাপী মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে একটি নিয়মের মধ্যে আটকে রেখেছে মহামারি করোনা। প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন প্রবাসীরা। প্রবাসীরা মানুষ দেখে মূল্যায়ন করে না, কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে। প্রতিটি প্রবাসীর আয়ের ওপর তার পরিবার নির্ভরশীল। প্রবাসীরা নিজের কথা যতটা না চিন্তা করে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি চিন্তা করে দেশে থাকা পরিবার প্রিয়জনের।

করোনা প্রতিরোধে প্রত্যেক দেশ নিজ দেশের সুরক্ষায় নিয়মকানুন প্রয়োজনে পরিবর্তন করছে। প্রবাসীদের স্থানীয় নিয়মকানুন মেনেই কাজে বের হতে হয়। মধ্যপ্রাচের দেশ কুয়েতে স্থানীয় ও প্রবাসীদের টিকা প্রদান চলছে জোরেশোরে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা চলছে দেশটিতে। সরকারের পক্ষ হতে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রতিনিয়ত নির্দেশনা ও সর্তকতা করা হচ্ছে।

টিকা নেওয়ার পর করোনা পজিটিভ হয়ে ডাক্তারের পরামর্শে হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে সুস্থ হওয়া কুয়েত প্রবাসী জাহিদ হোসেন বলেন, আমি টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছি দেড় মাস হলো। হঠাৎ রাতে জ্বর অনুভব করি এবং আমি করোনা টেস্ট করি। রাতে রিপোর্ট আসে আমার করোনা পজিটিভ এবং আমাকে জাবরিয়া করোনা স্পেশাল হসপিটালে যেতে বলা হয়।

পরিচিত বন্ধু-বান্ধবরা শুনে ফলমূল খাবার দাবার দিয়ে যাচ্ছে খোঁজখবর নিচ্ছে নিয়মিত। প্রবাসে আসার পরে এরকম কখনো একটানা ১০ দিন বিশ্রামে থাকা হয় উঠেনি। তাই বিষয়টা অন্য অর্থে খারাপ ছিল না; কারণ কোনো কাজের প্রেসার নেই। ১০ দিনের জন্য আমি নিজের রুমে স্বাধীন আর এভাবে কখন যে ১০ দিন কেটে গেল বুঝতে পারলাম না। তারপর আবার আমি একই হসপিটালে গেলে কর্তব্যরত ডা. আমার কোয়ারেন্টিন সমাপ্ত করে এপ্লিকেশন ক্লোজ করে দেয় এবং আমার নাম্বারে এসএমএস আসে; সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটা সার্টিফিকেট দেয় হয়। আমি নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টিন শেষ করলাম।

করোনা সন্দেহে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার বিষয়ে প্রবাসী সাদেক রিপন বলেন, আমি কুয়েত আসছি ৫ বছর চলছে। কর্ম-ব্যস্থতার মধ্যে চলছে প্রবাস জীবন। হঠাৎ গত বছর করোনা এসে সব কিছু যেন থমকে গেল পুরো বিশ্ব। কুয়েত সরকারের আন্তরিক জোর প্রচেষ্টা দুই ডোজ টিকা গ্রহণ শেষ। প্রচণ্ড গরম পড়ছে শরীর ক্লান্ত, চোখ স্বাভাবিকের তুলনায় লাল হওয়াতে স্থানীয় ক্লিনিকে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে বাসায় আসার পর মালিক বলল মনে হয় করোনা। তোমাকে ১০ দিন কোনো কাজ করতে হবে না। রুমে থাকো, রুম থেকে বের হবে না। আমিও ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খাচ্ছি; দুই-তিন দিন পর সুস্থ হয়ে যাই।

ভয় নয় সচেতনতাই পারে করোনাকে জয় করতে। করোনা আক্রান্ত রোগীকে অবহেলা বা ভয় পেয়ে দূরে ঠেলে না দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে সেবা-যত্ন করা সম্ভব।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.