উইকেট নিয়ে আগেরদিন যুগান্তরের এক প্রশ্নে মুচকি হেসেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। মিরপুরের উইকেট সাধারণত একটু মন্থর হয়। কিন্তু সেখানে যে এত জাদু লুকিয়ে ছিল সেটা কি আগে বুঝেছিলেন মাহমুদউল্লাহ?
অধিনায়কের সিক্রেট উইকেট আরও মন্থর হয়েছে। প্রথম বলেই উইকেট মেহেদী হাসানের, নাসুম আহমেদের ক্যারিয়ারসেরা ১৯ রানে চার উইকেট জিতে নিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। স্পিনারদের তৈরি ভিতের ওপর নিখুঁত সমাপ্তি টেনেছেন দুই বাঁ-হাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলাম।
মাত্র ১৩১ করার পর বাংলাদেশ সমর্থকরা ভেবে বসেছিল গো হারা হারবে টাইগাররা। এ তো অস্ট্রেলিয়ার ১০ ওভারের রান! কিন্তু সে কথা ভেবে বিষন্নতা ছেয়ে যাওয়ার আগেই অস্ট্রেলীয় দলের ৩ উইকেট হাওয়া!
নির্ধারিত ২০ ওভারে ১০৮ রান করতেই ঘেমে একাকার অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানরা। অবশেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৩ রানে হারল অস্ট্রেলিয়া। হারের প্রতিক্রিয়া জানাতে ঘর্মাক্ত শরীর নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে এলেন অসি অধিনায়ক ম্যাথিউ ওয়েড।
জানালেন, বাংলাদেশ সফরে তাদের জন্য এমন কিছুই অপেক্ষা করছে, তা আগে থেকেই জানতেন।
২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে একাদশে ছিলেন ওয়েড। তাই মিরপুরের স্লো আর স্পিন সহায়ক উইকেট সম্পর্কে ভালোই জানা তার।
সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই বিপদটা আগেভাগেই টের পেয়েছিলে ম্যাথিউ ওয়েড।
তিনি বললেন, ‘আমরা জানতাম, এমন কিছুই অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশ অনেক স্পিনার ব্যবহার করবে। আমরা আজ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।’
তবে এমন উইকেটে রান তোলা কঠিন হলেও ১৩২ রানের লক্ষ্য বড় কিছু ছিল না বলেও জানান ওয়েড। তাহলে কেন পারল না তার দল?
হারের ব্যাখ্যা এভাবে দিলেন ওয়েড, ‘এমন স্পিনবান্ধব উইকেটেও এই রান তাড়া করা সম্ভব। কিন্তু দ্রুত ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আমাদের ইনিংস গড়তে হতো। আমি ও মার্শ মিলে সেই চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষমেষ পেরে উঠিনি। পরের ম্যাচে আমাদের এমন উইকেটে রান বের করার উপায় খুঁজতে হবে। এখন পরিকল্পনা এটাই।’
হারের জন্য শুরুতে টপঅর্ডারদের দ্রুত হারিয়ে ফেলাকেই মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেন ওয়েড। বললেন, ‘আপনি যখন ১৩০ রান তাড়া করবেন, প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারালে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে ওঠে। শুরুতে এই ধাক্কা খাওয়াটা আমাদের কমিয়ে আনতে হবে।’
সদ্য সমাপ্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেরও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিবীয় উইকেটও কি মিরপুরের মতো?
ওয়েড জানালেন, গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্থক্য রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটেও স্পিন সহায়ক ছিল। কিন্তু এখানে স্পিনারদের বল স্কিড করে ভেতরে ঢুকেছে, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজে ছিল না। এখান থেকে আমাদের দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’
Array 
  
 
 
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                     
                                                                                                    