কিমের স্বাস্থ্য জল্পনার একটি সাধারণ বিষয়। ২০১৪ সালে তিনি প্রায় ৬ সপ্তাহ দৃশ্যের বাইরে চলে যান। ছবি: কেসিটিভি

ফের আলোচনায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিং জং উন। এবার তার স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ্যে আসা তার একটি ছবিতে দেখা গেছে, উত্তর কোরিয়ার এই নেতার মাথায় ব্যান্ডেজ।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিচালিত সংবাদমাধ্যম এনকে নিউজ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ স্থানীয় দৈনিক চোসুন ইলবো বলছে, গত ২৪ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কিম জং উনের মাথায় ব্যান্ডেজ দেখা যায়।

অবশ্য জুলাইয়ের একেবারে শেষ দিকে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ছবিতে কিমের মাথার পেছনের দিকের ওই ব্যান্ডেজ আর দেখা যায়নি। তবে একটি গাঢ় সবুজ দাগ দৃশ্যমান ছিল।

তবে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ধারণা করছে, কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অস্বাভাবিক কোনো আলামত দেখতে পাওয়া যায়নি। দেশটির আইনপ্রণেতাদের বরাতে সংবাদ মাধ্যম ইয়োনহাপ বলেছে, কয়েকদিন পরই কিমের মাথার পেছনের দিকের প্রলেপ সরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং এতে কোনো দাগ ছিল না।

এর আগে জুন মাসে রুলিং পার্টির সঙ্গে এক ছবিতে ভিন্ন এক কিমকে দেখা যায়। ওই ছবিতে দেখা যায় তিনি বেশ স্লিম হয়েছেন। তবে অসুস্থতাজনিত, নাকি সচেতনভাবে তিনি ওজন কমিয়েছেন; রিপোর্ট থেকে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কিমের স্বাস্থ্য জল্পনার একটি সাধারণ বিষয়। ২০১৪ সালে তিনি প্রায় ৬ সপ্তাহ দৃশ্যের বাইরে চলে যান। এরপর তাকে লাঠি হাতে হাঁটতে দেখা যায়। এর কয়েকদিন পর দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেন, গোড়ালি থেকে ফোঁড়া অপসারণে কিমের সার্জারি করা হয়েছে।

গত বছরের মার্চে উত্তর কোরিয়ার বসন্তকালীন সময়ে গুজব রটে যে, হার্ট সার্জারি করে কিম জং উন মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিছু রিপোর্টে তার মৃত্যুরও খবর প্রকাশ করা হয়। তবে কিম ফের সামনে আসার পর গ্রহণযোগ্য একটি সূত্র জানায়, করোনা মহামারিতে কিম নিজেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন করে পরিবারকে সময় দিচ্ছেন।

কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল ২০১১ সালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে (হার্ট অ্যাটাক) মারা যান। এরপর উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় বসেন কিম জং উন। ওই সময় ভারি গঠনের কিম জং উন বিশ্বে ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেন।

পর্যবেক্ষকরা কিমের স্বাস্থ্য এবং লাইফ স্টাইল পর্যাবেক্ষণ করে জানিয়েছেন, কিম জং উন তার স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ সংগ্রাম করেছেন।

গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, কিম জং উনের ওজন ১৪০ কেজি। ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা গ্রহণের পর তার ওজন প্রতি বছর গড়ে ৬-৭ পাউন্ড বেড়েছে।

 

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.